ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
৩০ মার্চ থেকে হাসপাতালেই ভিজিট নিয়ে রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জে বিরাশিয়ান বন্ধুদের মিলনমেলায় মেয়র আইভী চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূর্ণমিলনী কার্যক্রমের সূচনা মোল্লাকান্দিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বাড়ি-ঘর লুট ও ভাঙচুরের অভিযোগ শ্রীনগরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন শ্রীনগরে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার মুন্সীগঞ্জে জমির মালিকানা নিয়ে ধুম্রজাল পদ্মা সেতুতে ছয় মাসে আয় ৩৯৫ কোটি করোনায় চিকিৎসাহীন কেউ মারা গেলে তা ফৌজদারী অপরাধ : হাইকোর্ট আত্মহত্যা করেছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত

৯ বছরে দুই নদী বন্দর তীরের ১২৮৬৩ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশ : ০৫:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০ ৬৮
খবরের কাগজ অনলাইনের সর্বশেষ সংবাদ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের তীরভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ১২ হাজার ৮৬৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। সেইসঙ্গে ৫২১ দশমিক ৬২ একর তীরভূমি দখলমুক্ত করেছে।

ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ২৯ জানুয়ারি থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৯ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ একর তীরভূমি উদ্ধার করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

রোববার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব তথ্য জানান। এদিন তার সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় হয়। সভায় ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখল ও দূষণ প্রতিরোধকল্পে চলমান উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এছাড়া নদী তীর যেন অবৈধভাবে দখল হয়ে না যায় সেজন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় ৯ হাজার ৫৭৭টি সীমানা পিলার স্থাপন করেছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৬৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৫ হাজার ১১টি ও টঙ্গীতে ৫০৩টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪৬টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে শিগগিরই বৈঠক করা হবে বলে সভায় আলোচনা হয়। ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথে ১৩টি নিচু ব্রিজ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৯ বছরে দুই নদী বন্দর তীরের ১২৮৬৩ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশ : ০৫:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের তীরভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ১২ হাজার ৮৬৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। সেইসঙ্গে ৫২১ দশমিক ৬২ একর তীরভূমি দখলমুক্ত করেছে।

ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ২৯ জানুয়ারি থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৯ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ একর তীরভূমি উদ্ধার করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

রোববার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব তথ্য জানান। এদিন তার সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় হয়। সভায় ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখল ও দূষণ প্রতিরোধকল্পে চলমান উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এছাড়া নদী তীর যেন অবৈধভাবে দখল হয়ে না যায় সেজন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় ৯ হাজার ৫৭৭টি সীমানা পিলার স্থাপন করেছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৬৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৫ হাজার ১১টি ও টঙ্গীতে ৫০৩টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪৬টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে শিগগিরই বৈঠক করা হবে বলে সভায় আলোচনা হয়। ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথে ১৩টি নিচু ব্রিজ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।