ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
৩০ মার্চ থেকে হাসপাতালেই ভিজিট নিয়ে রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জে বিরাশিয়ান বন্ধুদের মিলনমেলায় মেয়র আইভী চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূর্ণমিলনী কার্যক্রমের সূচনা মোল্লাকান্দিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বাড়ি-ঘর লুট ও ভাঙচুরের অভিযোগ শ্রীনগরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন শ্রীনগরে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার মুন্সীগঞ্জে জমির মালিকানা নিয়ে ধুম্রজাল পদ্মা সেতুতে ছয় মাসে আয় ৩৯৫ কোটি করোনায় চিকিৎসাহীন কেউ মারা গেলে তা ফৌজদারী অপরাধ : হাইকোর্ট আত্মহত্যা করেছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত

গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা এড়াবেন যেভাবে

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশ : ০৫:২১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০ ৫৬
খবরের কাগজ অনলাইনের সর্বশেষ সংবাদ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সচেতনতার মাধ্যমে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে কিছু ভুল কখনোই করা যাবে না।

গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে যে রাবার পাইপটি থাকে, সেটিতে ‘বিএসটিআই’ ছাপ থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার সঙ্গে আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখুন। গ্যাসের পাইপটি যেন দৈর্ঘ্যে এক থেকে দেড় ফুটের বেশি লম্বা না হয়। সে ক্ষেত্রে পাইপ পরীক্ষার সময়ে অসুবিধা হবে।

রেগুলেটরের নজেলটি যাতে পাইপ দিয়ে ভালো করে কভার করা থাকে সেটা লক্ষ্য রাখুন। গরম বার্নারের সঙ্গে যাতে গ্যাসের পাইপ কোনভাবে লেগে না থাকে এদিকেও নজর রাখতে হবে।

পাইপটি নিয়মিত ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কিন্তু ভুলেও সাবান পানি ব্যবহার করবেন না। ২ বছর পরপর অবশ্যই পাইপটি বদলে ফেলুন।

পরিষ্কার রাখার জন্য গ্যাসের পাইপটিকে কোন রকমের কাপড় বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস দিয়ে মুড়ে রাখবেন না। যদি পাইপটি মুরে রাখা হয় তাহলে পাইপটি ফেটে গেলে বা লিক হলে ধরা পড়বে না।

গ্যাস লিক হচ্ছে বুঝতে পারলে বাড়ির কোনও ইলেক্ট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স অন করবেন না। ওভেন, রেগুলেটর বন্ধ করে দরজা-জানালা খুলে দিন।

গ্যাস লিক করার পরে যদি কিছুক্ষণের মধ্যে গন্ধ আসা বন্ধ না হয়, তাহলে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস বা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন। সিলিন্ডার থেকে রেগুলেটর আলাদা করে দিয়ে সিলিন্ডারের মুখে সেফটি ক্যাপও পরিয়ে দিতে পারেন।

খালি সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের রেগুলেটর খোলার সময় আশপাশে কোনও মোমবাতি বা প্রদীপ জাতীয় জিনিস যাতে না জ্বলে, তাও খেয়াল রাখুন।

একটি ঘরে দুটি সিলিন্ডার রাখার জন্য অন্তত ১০ বর্গফুট জায়গা থাকা জরুরি। এমন জায়গায় সিলিন্ডার রাখবেন না, যেখানে সহজেই তা অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে।

সিলিন্ডারের ওপরে কখনোই কোনও কাপড়, বাসন ইত্যাদি রাখবেন না।

সচেতনতার মাধ্যমেই গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা পরিমানে কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যা করতে হবে-

রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার অথবা আগুনের পাশে রাখবেন না। এতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন।

চুলা থেকে যথেষ্ট দূরে, বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে এলপিজি সিলিন্ডার রাখুন। রান্না শুরু করার আধা ঘণ্টা আগে রান্নাঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন। রান্নাঘরের উপরে ও নিচে ভেন্টিলেটর রাখুন। গ্যাসের গন্ধ পেলে ম্যাচের কাঠি জ্বালাবেন না, ইলেকট্রিক সুইচ এবং মোবাইল ফোন অন বা অফ করবেন না। চুলা সিলিন্ডার থেকে নিচুতে রাখবেন না। কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি উপরে রাখুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা এড়াবেন যেভাবে

প্রকাশ : ০৫:২১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সচেতনতার মাধ্যমে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে কিছু ভুল কখনোই করা যাবে না।

গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে যে রাবার পাইপটি থাকে, সেটিতে ‘বিএসটিআই’ ছাপ থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার সঙ্গে আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখুন। গ্যাসের পাইপটি যেন দৈর্ঘ্যে এক থেকে দেড় ফুটের বেশি লম্বা না হয়। সে ক্ষেত্রে পাইপ পরীক্ষার সময়ে অসুবিধা হবে।

রেগুলেটরের নজেলটি যাতে পাইপ দিয়ে ভালো করে কভার করা থাকে সেটা লক্ষ্য রাখুন। গরম বার্নারের সঙ্গে যাতে গ্যাসের পাইপ কোনভাবে লেগে না থাকে এদিকেও নজর রাখতে হবে।

পাইপটি নিয়মিত ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কিন্তু ভুলেও সাবান পানি ব্যবহার করবেন না। ২ বছর পরপর অবশ্যই পাইপটি বদলে ফেলুন।

পরিষ্কার রাখার জন্য গ্যাসের পাইপটিকে কোন রকমের কাপড় বা প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস দিয়ে মুড়ে রাখবেন না। যদি পাইপটি মুরে রাখা হয় তাহলে পাইপটি ফেটে গেলে বা লিক হলে ধরা পড়বে না।

গ্যাস লিক হচ্ছে বুঝতে পারলে বাড়ির কোনও ইলেক্ট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স অন করবেন না। ওভেন, রেগুলেটর বন্ধ করে দরজা-জানালা খুলে দিন।

গ্যাস লিক করার পরে যদি কিছুক্ষণের মধ্যে গন্ধ আসা বন্ধ না হয়, তাহলে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস বা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন। সিলিন্ডার থেকে রেগুলেটর আলাদা করে দিয়ে সিলিন্ডারের মুখে সেফটি ক্যাপও পরিয়ে দিতে পারেন।

খালি সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের রেগুলেটর খোলার সময় আশপাশে কোনও মোমবাতি বা প্রদীপ জাতীয় জিনিস যাতে না জ্বলে, তাও খেয়াল রাখুন।

একটি ঘরে দুটি সিলিন্ডার রাখার জন্য অন্তত ১০ বর্গফুট জায়গা থাকা জরুরি। এমন জায়গায় সিলিন্ডার রাখবেন না, যেখানে সহজেই তা অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে।

সিলিন্ডারের ওপরে কখনোই কোনও কাপড়, বাসন ইত্যাদি রাখবেন না।

সচেতনতার মাধ্যমেই গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা পরিমানে কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যা করতে হবে-

রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার অথবা আগুনের পাশে রাখবেন না। এতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন।

চুলা থেকে যথেষ্ট দূরে, বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে এলপিজি সিলিন্ডার রাখুন। রান্না শুরু করার আধা ঘণ্টা আগে রান্নাঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন। রান্নাঘরের উপরে ও নিচে ভেন্টিলেটর রাখুন। গ্যাসের গন্ধ পেলে ম্যাচের কাঠি জ্বালাবেন না, ইলেকট্রিক সুইচ এবং মোবাইল ফোন অন বা অফ করবেন না। চুলা সিলিন্ডার থেকে নিচুতে রাখবেন না। কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি উপরে রাখুন।